ঠাণ্ডার সমস্যায় আরাম দেয় এমন ৬টি পানীয়

অসুখে শরীরে পানির ঘাটতি হলে সমস্যা বাড়ে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি।
গলা ব্যথা বা সর্দি-কাশিতে গরম পানি দিয়ে গার্গল করলে আরাম পাওয়া যায়। উষ্ণ পানীয় পান করলে আরও বেশি উপকার হয়।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ডাক্তার নিকোলাস জেনেরালস বলেন, “কিছু পানীয় ঠাণ্ডার সমস্যায় খুব আরাম দেয় এবং সহজেই বানানো যায়। শরীর খারাপ হলে পানি পান করে শরীর আর্দ্র রাখতে হবে। পানির অভাবে নাক-গলা শুকিয়ে যেতে পারে। জ্বর ছাড়তে ঘাম হয়, তাতেও শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়।”
এখানে ঘরে তৈরি করা যায় এমন কয়েকটি উষ্ণ পানীয়র রেসিপি দেওয়া হলো:
১. আদা ও স্ক্যালিয়ন পেঁয়াজের চা
আদার ১০টি পাতলা টুকরো আর ৩টি স্ক্যালিয়ন পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ পানিতে ফোটাতে হবে। ৫ মিনিট সিদ্ধ করে ছেঁকে পান করুন। দিনে ৩ বার খেতে পারেন। এটি নাকের শ্লেষ্মা গলাতে সাহায্য করে।
২. মধু, লেবু ও আদার পানীয়
গরম পানিতে ২ চা-চামচ মধু, ১ টেবিল-চামচ আদা কুচি ও আধা লেবুর রস মিশিয়ে ৫-১০ মিনিট রেখে পান করুন। দিনে ২-৩ বার খেলে গলার খুসখুসে ভাব কমে।
৩. লেবু ও মধুর ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়
২ কাপ গরম পানিতে ১ টেবিল-চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল-চামচ মধু ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে পান করুন। এটি পানিশূন্যতা কমায়।
৪. মসলার চা
২টি দারুচিনি, ৩-৪টি এলাচ, ২-৩টি লবঙ্গ ও এক চিমটি গোলমরিচ গুঁড়ো করে ৩ কাপ পানিতে ২০ মিনিট ফোটান। দিনে ২-৩ বার পান করুন।
৫. হলুদ-দুধের পানীয়
১ কাপ দুধে আধা চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১ টেবিল-চামচ মধু ও এক চিমটি গোলমরিচ মিশিয়ে ফুটিয়ে পান করুন। দিনে ১ বার খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৬. চিকেন ব্রথ
মুরগির হাড়, পেঁয়াজ, গাজর ও মসলা দিয়ে পানিতে কয়েক ঘণ্টা জ্বাল করে সুপ বানান। এতে প্রদাহ কমে ও শক্তি বাড়ে।